খোসবাগ থেকে প্রায় ৬ কিমি পশ্চিমে এবং লাললাগ-নবগ্রাম পাকা সড়ক থেকে প্রায় পাঁচ কিমি পূর্বে ভট্টবাড়ির পঞ্চরত্ন রত্নেশ্বর শিবমন্দির। গৌড়ের বাদশা হোসেন সাহের রাজস্বকালে ৪০০ দক্ষিণী ব্রাহ্মণ বঙ্গদেশে আসেন। হোসেন সাহের প্রধান অমাত্য শ্রীসনাতন গোস্বামী তাঁদের ভাগিরথী তীরের কাছে এই গ্রামে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ভট্ট ব্রাহ্মণদের বাস ছিল বলে এই গ্রামের নাম হয় ভট্টবাড়ি বা ভট্টমাটি।
ডাহাপাড়ার বঙ্গাধিকারীদের ছ'অানা তরফ দ্বিতীয় কানুনগো জয়নারায়ণ ভট্টবাড়িতে থাকতেন। আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময় কালী নারায়ণ মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরটি ত্রিশ ফুট উঁচু, টেরাকোটার কাজে সমৃদ্ধ। মন্দিরের গায়ে রাসমণ্ডল, শিকারির মূর্তি, মৎসাবতার ও নানা পৌরাণিক কাহিনীর চিত্রকল্প আছে। মন্দিরটি পশ্চিমবঙ্গ পুরাতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত। বর্তমানে এখানে শিবমন্দিরটি ছাড়া কানুনগো রাজিবাড়ির কোন চিহ্নই আর অবশিষ্ট নেই।
No comments:
Post a Comment