'সোঁদামাটি' সাহিত্য পত্রিকা ও 'ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ' ফেসবুক গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে এই ওয়েবসাইট।

মতিঝিল কালা মসজিদ‬‬‬‬


আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠ জামাতা তথা ঘসেটি বেগমের (মেহেরুন্নেসা) স্বামী নবাব নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ সুদৃশ্য মতিঝিলের উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ১৭৫০ সালে ‘কালা মসজিদ’ নামে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা মতিঝিল মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটি তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। এছাড়া মসজিদ চত্বরে তিনি মাদ্রাসা ও অতিথিশালা (লঙ্গরখানা) নির্মাণ করেছিলেন। দরিদ্র ও আর্তের সেবার জন্য তিনি মাসে ৩৭,০০০টাকা করে ব্যয় করতেন। কথিত আছে, মতিঝিল মসজিদে সিরাজদ্দৌলার দাদু আলিবর্দি খাঁ নিয়মিত নমাজ পড়তে আসতেন। দাদুর হাত ধরে ছোট্ট সিরাজও মতিঝিল মসজিদে আসতেন। 


আলিবর্দির বড় মেয়ে ঘসেটি বেগম ছিলেন নিঃসন্তান। সিরাজের ছোট ভাই এক্রামুদ্দৌলাকে দত্তক নিয়ে তিনি সন্তান স্নেহে পালন করতেন। অল্প বয়সে বসন্ত রোগে মৃত্যু হয় এক্রামুদ্দৌলার। মতিঝিল মসজিদ চত্বরেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। এক্রামুদ্দৌলার মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে শোথরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ঘসেটি বেগমের স্বামী নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ। মতিঝিল মসজিদ চত্বরে পাশাপাশি দুজনেরই সমাধি রয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রাচীরবেষ্টিত চারটি সমাধি আছে। ২টি শ্বেতপাথরের, ১টি কালো পাথরের ও ১টি ইটের তৈরি। শ্বেত পাথরের সমাধি দুটি নওয়াজেস মহম্মদ খাঁ ও এক্রামুদ্দৌলার সমাধি। কালো পাথরের সমাধিটি এক্রামুদ্দৌলার শিক্ষকের। আর ইটের সমাধিটি এক্রামুদ্দৌলার ধাত্রীর। এছাড়াও প্রাচীরের বাইরে একটি ইটের সমাধি আছে, সেটি নওয়াজেস মহম্মদ খাঁর সেনাপতি সমসের আলি খাঁর সমাধি। বর্তমানে মসজিদটি ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ দ্বারা সংরক্ষিত।


শেয়ার করুন

1 comment: