ব্রিটিশ আমলের অবসান হয়েছে ৬৭ বছর আগে। তার আগে নীলকর কুঠিয়ালরা বিদায় নিয়েছে,
সেও শতাধিক বছর আগের কথা। কিন্তু তাদের অত্যাচারের কাহিনী আর আমাদের নীল বিদ্রোহের
গর্বিত ইতিহাস মুছে যায়নি। সভ্যমনুষ্য রূপী অসভ্য কুঠিয়ালদের পাশবিক নির্যাতনের হাত
থেকে সেদিন মুর্শিদাবাদেরও কৃষকরাও রক্ষা পায়নি। তার জ্বলন্ত উদাহরণ কালের সাক্ষী হয়ে
দাঁডিয়ে আছে হরিহরপাড়ার চোঁয়ার নীলকুঠী।
বহরমপুর শহর থেকে ২২ কিমি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে হরিহরপাড়া ব্লকে অবস্থিত চোঁয়া।
আগে এর নাম ছিল চন্দ্রদ্বীপ। বর্তমানে হরিহরপাড়া থানা ভবনটিই এক সময় নীলকুঠী ছিল। এখানে
নীলকর সাহেবরা বসবাস করতেন। শোনা যায় নীলকর ডালটন সাহেব এখানে থাকতেন।
থানার অপর দিকে রাস্তা পাড়ে ছিল নীলকুঠীর ভাটি। নীল গাছ থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণের
মাধ্যমে রঙ তৈরি করা হতো। এখনও এখানে নীল চুল্লি, ভাঙা ঘরের কিছু অংশ ও চিমনির ধ্বংসাবশেষ
ইতিহাসের ছোঁয়া নিয়ে দাঁডিয়ে আছে। নীলকুঠীর পাশ দিয়েই একসময় ভৈরব নদী বয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে তার গতিপথ পরিবর্তন ঘটায় সেটা একটি বিলে পরিণত হয়েছে। লোকে একে ব্যাঙদহ
বিল বলে।
নীলকুঠী
ReplyDeleteধন্যবাদ দীননাথ বাবু
ReplyDeleteDarun tathya.
ReplyDelete