নবাবী
আমলের একটি প্রসিদ্ধ জনপদ ছিল রেজিনগরের দাদপুর গ্রাম। ভাগিরথী নদীর পাশে এই গ্রামটি
অবস্থিত। গ্রামের পাশে একটি বড়ো বাঁওড় (জলাশয়) আছে। মুর্শিদাবাদের নবাবী ও ইংরেজ ইতিহাসের
অনেক কিছু সাক্ষী এই বাঁওড়।
এক সময় ভাগিরথী নদীর মূল স্রোত এদিক দিয়েই প্রবাহিত হত।
পরে ভাগিরথী নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদে পরিণত হয়। দাদপুরে নবাবী
এক প্রসিদ্ধ চটী ছিল। এখানে নবাবের অনেক লোকজন বাস করত। নবাবের একটি নিজ বাসস্থান ছিল,
তাকে নবাববাটী বলতো। নবাবদের হাতি, ঘোড়া প্রভৃতি আবাসস্থানের জন্য পিলখানাও ছিল। বর্তমানে
এগুলি সবই ভাগিরথীর ও এই বাঁওড়ের জলে। পলাশী যুদ্ধের আগে নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা যে শিবির
করেছিলেন তাও এখন বাঁওড়ের জলে। আবার ক্লাইভ যুদ্ধের দিন রাতে দাদপুরে যে শিবির করে
ছিলেন সেটাও বাঁওড়ের জলে। দাদপুর বাঁওড়ের ঘাট ইংরেজ আমলে এই অঞ্চলের অন্যতম বাণিজ্য
ঘাট ছিল। এই বাঁওড়ের পাশে এখনো রয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত ইংরেজ নীলকুঠী ও নবাবী আমলের বাদশাহি
সড়ক।
No comments:
Post a Comment