মুর্শিদাবাদ
জেলার সাগরদিঘি থানার শেখদিঘি গ্রাম লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মোড় থেকে
দক্ষিণ-পূর্বে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে খেরুর গ্রাম। খেরুর গ্রামের উত্তর-পূর্ব কোণে আনুমানিক তিন মিটার উচু একটি টিলার উপর খেরুর মসজিদ অবস্থিত।
পূর্বমুখী
মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান হোসেন শাহের সেনাপতি মুয়াজ্জম খাঁ ১৪৯৪-৯৫
খ্রীষ্টাব্দে। মসজিদের সামনের দেওয়ালের মূল প্রবেশদ্বারের উপর নিবদ্ধ রয়েছে কালো
পাথরের দু’টি ফলক। তাতে আরবি হরফে মসজিদটির নির্মাণ কাল খোদাই করা
রয়েছে। চুন-সুরকির গাঁথনিতে বাংলা ইট দিয়ে মসজিদটি নির্মিত হয়। ভেতরে, বাইরে, দেওয়ালে, ও খিলান মিলে
সমগ্র মসজিদটি টেরাকোটার ফুল ও লতাপাতায় অলঙ্কৃত।
মসজিদটি
দু’টি প্রকষ্ঠে বিভক্ত। পূর্বদিকে রয়েছে তিনটি প্রবেশদ্বার। তারপর বারান্দা।
বারান্দার পর ফের তিনটি প্রবেশদ্বার। বারান্দার উপরে রয়েছে ৩টি গম্বুজ। বারান্দার
পর পশ্চিমদিকে রয়েছে ৯ মিটার বাই ৯ মিটার আয়তনের মূল মসজিদ। মূল মসজিদের উপরে ছিল
বিশালাকৃতির একটি গম্বুজ। এ কারণে ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগ নাম রেখেছে ‘এক গম্বুজ বিশিষ্ট খেরুর মসজিদ’। বিশালাকৃতির
গম্বুজটি ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পে ভেঙে গিয়েছে।
বর্তমানে
মসজিদটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের দ্বারা সংরক্ষিত।
[গ্রন্থপঞ্জি:
AH
Dani, Muslim Architecture in Bengal, Dacca, 1961; বিজয় কুমার বন্দোপাধ্যায় ও অমিয় কুমার বন্দোপাধ্যায়, পশ্চিম বঙ্গের পুরাসম্পদ মুর্শিদাবাদ, কলকাতা,
১৯৮২; Catherine B Asher, ‘Inventory of key monuments’ in
George Michell (ed), The Islamic Heritage of Bengal, UNESCO, Paris, 1984.]
টেরাকোটার কাজ রয়েছে তথ্যটি আমার অজানা ছিল।
ReplyDeleteআমি জানতাম খেরূর মসজিদ ইন্দ-পারসিক শিল্প সমন্বয় শৈলি।টেরাকোটার কাজের ফুল ও লতাপাতার পোড়ানো চিত্র আমার অজানা ছিল।
ReplyDelete